রেডিও থেরাপি কি?
রেডিও থেরাপি হচ্ছে একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা যেখানে ক্যান্সার এবং টিউমারের কোষ ধ্বংসের জন্য গামা ও রঞ্জন রশ্মির মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
radio therapy
রেডিও থেরাপি খরচ কত বাংলাদেশে?
রেডিওথেরাপির খরচ নির্ভর করে রোগীর অবস্থার উপর।এটি একটি জটিল রোগের নিরাময় ব্যবস্থা রেডিও থেরাপি। তবে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রেডিওথেরাপির খরচ হতে পারে।
কলকাতায় রেডিওথেরাপির খরচ কত?
রেডিও থেরাপি একটি জটিল প্রক্রিয়ায় রোগ নির্মূল করেন। অবশ্যই এটির ব্যয় অত্যাধিক।কলকাতার অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ অনেক কম রয়েছে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা গড়াতে পারে।
রেডিও থেরাপি কতদিন পর পর দিতে হয়?
এটি সম্পূর্ণ রোগীর রোগের উপর নির্ভর করে তবে স্বাভাবিকভাবে ১ সপ্তাহ পরপর অথবা ১ মাস পর পর থেরাপি নিতে হয়।
রেডিও থেরাপি কতদিন পর্যন্ত নিতে হয়?
রেডিও থেরাপি চিকিৎসা ধাপে ধাপে নিতে হয়। প্রথম ধাপ সময় লাগে চার সপ্তাহ পাঁচ সপ্তাহ। এমনভাবে দুইটি থেকে তিনটি চক্র চলে এর ফলে আমরা বলতে পারি এই চিকিৎসাটি এক বছর থেকে দেড় বছর পর্যন্ত চলতে পারে।
রেডিও থেরাপির কতদিন পর ভালো লাগে?
রেডিয়েশন এর প্রভাবের মাধ্যমে রেডিওথেরাপি প্রদান করা হয়। এর ফলে শরীরের অনেক নষ্ট হয়ে যায় এই কোষগুলো পুনরায় সুস্থ হতে এক মাস অথবা ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। তবে শরীর সুস্থ বা রোগীকে ভালো লাগে সাধারণত কোষ গুলো ভালো হবার পরে তবে এটি ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় পরে ভালো লাগা কাজ করে।
রেডিও থেরাপির সিরিয়াল পেতে কত সময় লাগে?
রেডিওথেরাপি এমন নয় আপনার জ্বর হয়েছে আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং উনি আপনার ঔষধ লিখে দিবেন এবং আপনি তা সেবন করবেন। অবশ্যই এই রোগটি একটি জটিল রোগ। জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্বোধন করা হয় এর জন্য আমাদেরকে দুই থেকে তিন মাস খুব কম হলে এক মাসের সময় লাগতে পারে সিরিয়াল পেতে।
সিটি স্ক্যান করার কতক্ষণ পর রেডিয়েশন শরীরে থাকে
একটি ইমেজিং পরীক্ষার পরে কি কোন বিকিরণ শরীরে থাকে? রেডিওগ্রাফিক, ফ্লুরোস্কোপিক, সিটি, আল্ট্রাসাউন্ড, বা এমআরআই পরীক্ষার পরে, আপনার শরীরে কোনও বিকিরণ অবশিষ্ট থাকে না । নিউক্লিয়ার মেডিসিন ইমেজিংয়ের জন্য, অল্প পরিমাণ বিকিরণ অল্প সময়ের জন্য শরীরে থাকতে পারে।
রেডিয়েশন কিভাবে হয়?
রেডিয়েশন থেরাপি আপনার শরীরের ভিতরে বা বাইরে দেওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ ধরনের বাহ্যিক মরীচি বিকিরণ থেরাপি। এই চিকিৎসায় লিনিয়ার এক্সিলারেটর নামে একটি বড় মেশিন ব্যবহার করা হয় । উচ্চ-শক্তির বিমগুলি মেশিন থেকে আপনার শরীরের একটি সুনির্দিষ্ট বিন্দুতে লক্ষ্য করা হয়।
রেডিয়েশন থেরাপি কি সুস্থ কোষের ক্ষতি করে?
বিকিরণ শুধুমাত্র ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে মেরে বা ধীর করে না, এটি কাছাকাছি সুস্থ কোষকেও প্রভাবিত করতে পারে । স্বাস্থ্যকর কোষের ক্ষতি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যারা রেডিয়েশন থেরাপি পান তাদের অনেকেরই ক্লান্তি থাকে।
রেডিও থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
◑ওরাল মিউকোসাইটিস
◑জিনিটোরিনারি বিষাক্ততা
◑লালা গ্রন্থির বিষাক্ততা- মুখের শুষ্কতা
◑ফুসফুসের বিষাক্ততা উপসংহার
◑ত্বক পুড়ে যাওয়া।
◑শরীরের অনেক অংশেই লালচে বর্ণ ধারণ করা
◑মাথার চুল সাদা হয়ে যাওয়া
◑গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল বিষাক্ততা গ্রেডিং
বাংলাদেশের রেডিও থেরাপি কোথায় দেওয়া হয়?
চট্টগ্রাম বিভাগে চমেক হাসপাতালে রেডিওথেরাপির একটি বিভাগ রয়েছে সেখানে শুধুমাত্র চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তবে ঢাকাতেও রেডিও থেরাপি একটি শাখা রয়েছে।
রেডিও থেরাপি কত প্রকার?
রেডিওথেরাপি সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে। টেলিথেরাপি বা এক্সটার্নাল রেডিওথেরাপি এবং ব্রাকিথেরাপি বা ইন্টার্নাল রেডিওথেরাপি।টেলিথেরাপির মাধ্যমে রোগী স্পর্শ না করেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। ব্রাকিথেরাপি রোগীকে স্পর্শের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করে।
সাত প্রকার বিকিরণ কি কি?
EMR এর সাতটি প্রাকৃতিক রূপ রয়েছে। গামা রশ্মির সর্বোচ্চ শক্তি এবং সবচেয়ে কম তরঙ্গদৈর্ঘ্য রয়েছে। তারপরে আসে এক্স-রে, অতিবেগুনী আলো, দৃশ্যমান আলো, ইনফ্রারেড বিকিরণ এবং মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ । অবশেষে, রেডিও তরঙ্গের সর্বনিম্ন শক্তি এবং দীর্ঘতম তরঙ্গদৈর্ঘ্য রয়েছে।
তিন প্রকার বিকিরণ কি কি?
বিকিরণ হল শক্তি, তেজস্ক্রিয় পরমাণু থেকে নির্গত কণা বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রশ্মির আকারে। তিনটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের বিকিরণ হল আলফা কণা, বিটা কণা এবং গামা রশ্মি ।
১ গাই রেডিয়েশন কত?
SI ইউনিট "ধূসর" পুরানো "র্যাড" পদবি প্রতিস্থাপন করেছে। 1 Gy = 1 জুল/কিলোগ্রাম = 100 rad. ধূসর রঙ যেকোন ধরণের বিকিরণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে (যেমন, আলফা, বিটা, নিউট্রন, গামা), তবে এটি বিভিন্ন বিকিরণের জৈবিক প্রভাব বর্ণনা করে না।
রেডিয়েশন চিকিৎসা কি পরিবারের সদস্যদের প্রভাবিত করে?
বিকিরণ চিকিৎসা এলাকা থেকে খুব দূরে ভ্রমণ করে না। তাই সাধারণত অন্য মানুষের সাথে থাকা নিরাপদ। যাইহোক, সতর্কতা হিসাবে আপনাকে কিছু সময়ের জন্য শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়াতে হবে। আপনার চিকিৎসক আপনাকে এই সম্পর্কে নির্দিষ্ট পরামর্শ দেবেন
তথ্যচিত্র :- উপরের তথ্যসমূহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট ডক্টর এবং বই থেকে নেওয়া হয়েছে ।
Comments
Post a Comment