হাটু ব্যথা সাধারণত  বয়স্ক মানুষের হয়ে থাকে তবে অল্প বয়সের মানুষেরও হতে পারে। হাটু ব্যথা মূলত বয়স্কতা সমস্যা লিগামেন্ট ও হারের সমস্যা এবং সংক্রমণ জন্য ব্যথা হতে পারে। খেলতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যথা পেতে পারে শুধু হাঁটুতেই না। শরীরের যেকোন স্থানে সন্ধিগুলো যদি ফুলে যায় সে স্থানে অনেক ব্যথা করবে। আমাদের দেশে সবথেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এগিয়ে গেছেন আজ আমরা শিখব হোমিওপ্যাথি  ওষুধের দ্বারায় হাঁটুর ব্যথা এবং অন্যান্য ব্যাথার নিরাময় ব্যবস্থা। 


হাটু ব্যথা
হাটু ব্যথা 



হাঁটুর ব্যথার লক্ষণ  :-


◑হাটু বা হার সামান্য অথবা বেশি ব্যথা হতে পারে। 

◑হাঁটুতে লালচে ভাব হওয়া 

◑হাঁটু ফুলে যাওয়া 

◑হাটতে গেলে হাটুতে টান পড়া। 

◑পা অনেক ভারী হয়ে যাওয়া 

◑দৌড়াতে অথবা হাঁটতে অসুবিধা হওয়া। 

◑স্বাভাবিক কাজগুলো না করতে পারা। 

◑কিছু সময় পরপর ব্যথা হওয়া। 


হাঁটু ব্যথার হোমিও চিকিৎসা :-


আচনিতুম নাপেল্লুস  (Aconitum napellus) :-

হোমিওপ্যাথি এটি একটি কার্যকরী এবং সফল ঔষধ। একটি সাধারণত  পা ভেঙ্গে যাওয়ার মত ব্যথা বা হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে বা লিগামেন্ট ছিড়ে গিয়েছে। রোগীর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় এই ওষুধটি চিকিৎসকগণ দিয়ে থাকেন। 


ছামমিল্লা (Chamomilla):-

এটি একটি ব্যথানাশক ঔষধ। রোগীর অস্বাভাবিক ব্যথায় যখন অজ্ঞান হয়ে যায়।ব্যথার কারণে রোগী অস্বাভাবিক কথা বলতে পারে। ডক্টর অথবা আশেপাশে মানুষকে ব্যথা কমানোর ঔষধের জন্য চিল্লা পাল্লা করতে পারে।এমন অবস্থায় রোগীকে এই ঔষধ দেওয়া হয়ে থাকে। 


চলছিচুম আউতুম্নালে (Colchicum autumnale)

দুপুরের ঔষধ দুটি তুলনায় এই ওষুধটি সামান্য কম শক্তিশালী।  অনেক সময় আঙ্গুলে ব্যথা বা শরীরে  সামান্য ব্যথা  হয়ে থাকে ব্যথাটি সাধারণত বাত এমন অবস্থায় চিকিৎসকগণ এই ওষুধটি নিতে বলেন। 



লেদুম  পালুস্ত্রে (Ledum palustre):-

লেদুম সাধারণত ভেতরের ক্ষত ও ব্যথা দূর করবার সব থেকে কার্যকরী ওষুধ। যেমন যে কোন স্থানে কাটা পেরাক লোহা জাতীয় পদার্থ আমাদের দেহে বা পায়ে প্রবেশ করলে যে ব্যথা অনুভব করি সে ব্যথার নিরাময়ের জন্য এবং দেহের ওই সকল পদার্থ বের করার জন্য এই ওষুধটি ডাক্তাররা সব থেকে বেশি বলে থাকেন। ধনুষ্টংকার খিঁচুনি অথবা মৃগী রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 


লাচ  চানিনুম (Lac caninum):-

যে ব্যথাগুলো পরিবর্তন হয় মানে(ডান পাশে ব্যথা থাকলে পরবর্তীতে বাম পাশে চলে যাওয়া)। এমন লাচ ওষুধটি ব্যবহার করে থাকে ডাক্তাররা। মাংসপেশীতে এই রোগটি বা ব্যথা সব থেকে বেশি। 




ঠুজা  অচ্চিদেন্তালিস (Thuja occidentalis):-

টিকা অথবা রক্তদান বা রক্ত গ্রহণের সময় আমাদের হাতে যে নিকলটি পড়ানো হয় সে স্থানে অনেক সময় ব্যথা হইতে পারে। এই ব্যাথা নিরাময়ের জন্য ঠুজা  অচ্চিদেন্তালিস সব থেকে বেশি কার্যকরী একটি ঔষধ। 



হাঁটু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা :-

বয়স্ক ব্যক্তিরা সব থেকে হাঁটু ব্যথায় বুকে থাকে। এর মাঝে যদি শিশু অথবা বাচ্চা ব্যক্তি আক্রান্ত হয়। তাহলে প্রথমে ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়ায় উত্তম 


বরফ ব্যবহার করা :ব্যথা নিরময় প্রাথমিক সব থেকে বড় ঔষধ হচ্ছে বরফ। হাঁটুতে অথবা পায়ে যে কোন স্থানে বর লাগিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত। বরফ না পেলে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। 


মাসাজ স্বাস্থেরাপি :-যে স্থানে ব্যথা করবে বা ব্যথা পাবেন সেই স্থানে দুই হাত চেপে অথবা এক হাত দিয়ে মাসাজ করবেন। অবশ্যই ধীরে কাজগুলো করার চেষ্টা করবেন দেখবেন অনেক সুস্থতা বোধ করবেন। 


গরম জল থেরাপি :ঠান্ডা পানি যেমন কার্যকরী তেমনি ভাবে গরম পানিও অনেক কার্যকরী ঔষধ। যে স্থানে ব্যথা করবে সে স্থানে ওয়াটার ব্যাগ রেখে দেবেন ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। 


দুধ ও ডিম :

হাড় ক্ষয়ের অথবা পায়ে ও হাতে ব্যথা জন্য সব থেকে কার্যকরী খাদ্য হচ্ছে দুধ ও ডিম। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ গ্রাম দুধ এবং একটি ডিম খাবেন দুই মাস ধরে। অবশ্যই এর ফলে হাড়ের হয় অথবা ভেঙ্গে গেলে সুস্থতা আরোগ্য লাভ সম্ভব। 


⊕ আদা ও রসুন :- অবশ্যই চায়ের সঙ্গে আদা খাবার চেষ্টা করবেন সাথে রসুনও খাবেন নিয়মিত। 


⊕ নিয়মিত চলাফেরা :- আমাদের অনেক রোগ হয়ে থাকে যেটি অস্বাভাবিকভাবে চলাফেরার কারণে। মানে নিয়মিত যদি আমরা স্বাভাবিক ব্যায় করতে পারি তাহলে অবশ্যই পায়ে ব্যথা মাথা ব্যথা শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।নিয়মিত চলাফেরা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। 


হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথার ওষুধের নাম :-


ক্যালবো - ডি

ণেস  টাব্লেত 


আঘাত জনিত ব্যথার ঔষধ এর নাম:-


ডিক্লোমল ট্যাবলেট

ইন্টাজেসিক ৫০ এম জি

ক্যাডিনেক্সট প্লাস ৫০এম জি

ঢ়ুমাচরত ৫০০ এম জি


শরীর ব্যথার সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি:-


আইবুপ্রোফেন

অ্যাসপিরিন

নেপ্রোক্সেন

অ্যাসিটামিনোফেন


আঘাত জনিত ব্যথার করণীয় কি :-


আমরা সব থেকে বেশি আঘাত জনিত ব্যথায় ভুগে থাকি। এর কারণ আমরা অনেক সময় খেলাধুলায়,এক্সিডেন্ট,মারামারি,শারীরিকভাবে, ড্রাগ নেওয়ার ফলে ব্যথা পেয়ে থাকি। এর জন্য অবশ্য আমাদেরকে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

⊕ এক্সরে 

⊕ অ্যাসিটামিনোফেন

⊕ অ্যাসিটামিনোফেন

⊕ রক্ত পরীক্ষা 


উপরের সকল পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদেরকে নির্ণয় করতে হবে আমাদের ব্যথার অবস্থা কি রকম। এর পরে চিকিৎসা নিতে হবে।

উপরে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বলার চেষ্টা করেছি। 


পরামর্শ :-যেকোনো চিকিৎসা গ্রহণ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন